E Passport – ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও অনলাইনে পাসপোর্ট চেক

E Passport

Table of Contents

ই পাসপোর্ট কি? What is E Passport?

ই পাসপোর্ট (E Passport) বা ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট হলো একটি আধুনিক পাসপোর্ট যাতে পাসপোর্ট ধারকের বায়োমেট্রিক এবং ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করে একটি মাইক্রোচিপ অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই ডিজিটাল প্রযুক্তি নিরাপত্তা বাড়ায় এবং সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া সহজতর করে। ই-পাসপোর্টে সাধারণত একটি ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডেটা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিবরণ থাকে। যা সাধারণ পাসপোর্টের তুলনায় জালিয়াতি কোমায় ও জালিয়াতির বিরুদ্ধে আরও প্রতিরোধী করে তোলে।

কিভাবে একটি ই পাসপোর্ট কাজ করে? – How does an E Passport Work?

একটি ই পাসপোর্ট তার কভারের মধ্যে একটি মাইক্রোচিপ এম্বেড করে কাজ করে। যা পাসপোর্ট ধারকের বায়োমেট্রিক এবং ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করে। যখন বর্ডার কন্ট্রোল বা ইমিগ্রেশন চেকপয়েন্টে স্ক্যান করা হয়, তখন একজন পাঠক মাইক্রোচিপটি অ্যাক্সেস করে। এই পাঠক পাসপোর্টের ডেটা প্রমাণীকরণের জন্য মাইক্রোচিপের সাথে যোগাযোগ করে এটি নিশ্চিত করে যে, এটি পাসপোর্টে প্রদর্শিত শারীরিক তথ্যের সাথে মেলে। এই প্রযুক্তি নিরাপত্তা বাড়ায় এবং কর্তৃপক্ষকে ভ্রমণকারীর পরিচয় যাচাই করতে সাহায্য করে। জাল পাসপোর্ট সনাক্ত করা আরও সহজ করে তোলে।

ই-পাসপোর্টের সুবিধা – Benefits of E-Passport

ই-পাসপোর্ট বেশ কিছু সুবিধা দেয়:

  • বর্ধিত নিরাপত্তা: ই-পাসপোর্টগুলিতে বায়োমেট্রিক ডেটা যেমন আঙ্গুলের ছাপ বা মুখের স্বীকৃতি সহ উন্নত সুরক্ষা বৈশিষ্ট্যগুলি অন্তর্ভুক্ত করে। যা তাদের পরিচয় চুরি এবং জালিয়াতির বিরুদ্ধে আরও প্রতিরোধী করে তোলে। এটি নিশ্চিত করে যে পাসপোর্ট উপস্থাপনকারী ব্যক্তি বৈধ ধারক।
  • দক্ষ বর্ডার কন্ট্রোল: ই-পাসপোর্টের ইলেকট্রনিক ডেটা বর্ডার কন্ট্রোল সিস্টেমের মাধ্যমে দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে পড়া যায়। যা বিমানবন্দর এবং অন্যান্য এন্ট্রি পয়েন্টে প্রবেশ এবং প্রস্থান প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করে। এতে অপেক্ষার সময় ও যানজট কমে যায়।
  • গ্লোবাল ইন্টারঅপারেবিলিটি: ই পাসপোর্ট আন্তর্জাতিক মান মেনে চলে। এই প্রযুক্তি সমর্থন করে এমন দেশগুলিতে নির্বিঘ্ন ভ্রমণের সুবিধা দেয়। ভ্রমণকারীরা ঘোড়দৌড়ের মধ্যে মসৃণ রূপান্তর উপভোগ করতে পারে।
  • পাসপোর্ট জালিয়াতি হ্রাস: ই পাসপোর্টের ডিজিটাল উপাদান এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জালিয়াতি করাকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তোলে। প্রতারণামূলক নথির প্রচলন প্রবেশের ঝুঁকি হ্রাস করে।
  • সুবিধা: ই পাসপোর্ট প্রায়ই অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্যগুলি অফার করে। যেমন- স্বয়ংক্রিয় কিয়স্ক এবং ই-গেট, যা ভ্রমণকারীদের দীর্ঘ লাইন বাইপাস করতে এবং অভিবাসন প্রক্রিয়াগুলি আরও দক্ষতার সাথে সম্পূর্ণ করতে দেয়।
  • ডেটা সুরক্ষা: E‑Passport এনক্রিপশন এবং সুরক্ষা প্রোটোকলগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে পাসপোর্টধারীদের ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা করতে ডেটা লঙ্ঘনের ঝুঁকি হ্রাস করে।
  • আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি: ক্রমবর্ধমান সংখ্যক দেশ E Passport গ্রহণ করছে। যাতে তাদের ভ্রমণকারীরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রমণের সময় উন্নত নিরাপত্তা এবং মসৃণ সীমান্ত ক্রসিংয়ের সুবিধা উপভোগ করতে পারে।
  • ভবিষ্যৎ-প্রুফিং: দীর্ঘমেয়াদী কার্যকারিতা নিশ্চিত করে ই-পাসপোর্টগুলিকে সহজে আপডেট করা যায় এবং নতুন নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য এবং প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অভিযোজিত করা যায়।

E‑Passport সরকার এবং ভ্রমণকারী উভয়ের জন্য একটি নিরাপদ, সুবিধাজনক এবং আরও দক্ষ আন্তর্জাতিক ভ্রমণ অভিজ্ঞতায় অবদান রাখে।

ই-পাসপোর্ট কি সাধারণ পাসপোর্টের চেয়ে বেশি নিরাপদ? – Is E Passport More Secure Than Normal Passport?

ই-পাসপোর্টকে সাধারণত প্রথাগত কাগজের পাসপোর্টের চেয়ে বেশি নিরাপদ বলে মনে করা হয়। এখানে কিছু কারণ আছে কেন:

  • বায়োমেট্রিক ডেটা: ই-পাসপোর্টগুলিতে বায়োমেট্রিক তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে। যেমন- আঙ্গুলের ছাপ বা মুখের শনাক্তকরণ ডেটা। যা পরিচয় যাচাইয়ের একটি অতিরিক্ত স্তর যুক্ত করে। প্রথাগত পাসপোর্ট শুধুমাত্র ধারকের শারীরিক চেহারার উপর নির্ভর করে তাদের ছদ্মবেশের জন্য আরও সংবেদনশীল করে তোলে।
  • টেম্পার-প্রতিরোধী: ই-পাসপোর্টের মাইক্রোচিপে সংরক্ষিত ইলেকট্রনিক ডেটা পরিবর্তন বা জাল করা কঠিন। বিপরীতে সাধারণ পাসপোর্ট জাল বা আরও সহজে টেম্পার করা যেতে পারে। যা নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করে।
  • প্রমাণীকরণ: বর্ডার কন্ট্রোল সিস্টেম ই-পাসপোর্টে তথ্য দ্রুত প্রমাণীকরণ করতে পারে। মানুষের ভুলের ঝুঁকি হ্রাস করে এবং নির্ভুলতা উন্নত করে। ঐতিহ্যগত পাসপোর্টের জন্য ম্যানুয়াল যাচাইকরণের প্রয়োজন হতে পারে, যা ধীরগতির এবং কম নির্ভরযোগ্য হতে পারে।
  • গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড: ই পাসপোর্ট আন্তর্জাতিক মান মেনে চলে, দেশ জুড়ে ধারাবাহিকতা এবং আন্তঃকার্যযোগ্যতা প্রচার করে। ঐতিহ্যগত পাসপোর্টের নকশা এবং নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যে তারতম্য রয়েছে, যার ফলে শনাক্তকরণের জন্য একটি সর্বজনীন মান প্রতিষ্ঠা করা কঠিন হয়ে পড়ে।
  • এনক্রিপশন: ই পাসপোর্টগুলি মাইক্রোচিপে সংরক্ষিত ডেটা সুরক্ষার জন্য এনক্রিপশন ব্যবহার করে, এটি অননুমোদিত পক্ষগুলির জন্য তথ্য অ্যাক্সেস বা ম্যানিপুলেট করা আরও চ্যালেঞ্জিং করে তোলে।
  • হ্রাসকৃত জালিয়াতি: ই পাসপোর্টে বায়োমেট্রিক্স এবং উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যের সমন্বয় তাদের পরিচয় চুরি এবং নথি জালিয়াতির প্রতি কম সংবেদনশীল করে তোলে, যা ভ্রমণকারী এবং সরকার উভয়ের জন্য উচ্চ স্তরের নিরাপত্তা প্রদান করে।

যদিও কোনো সিস্টেমই সম্পূর্ণ নির্ভুল নয়। ই-পাসপোর্টগুলি তাদের ঐতিহ্যগত কাগজের সমকক্ষের তুলনায় পাসপোর্ট নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য উন্নতির প্রতিনিধিত্ব করে। যা পরিচয় জালিয়াতি মোকাবেলা করতে এবং সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা উন্নত করতে সাহায্য করে।

ই-পাসপোর্টে বায়োমেট্রিক্স ব্যবহার -Use of Biometrics in E-Passport

ই পাসপোর্টে বায়োমেট্রিক্স নিরাপত্তা বাড়াতে এবং পাসপোর্টধারীর পরিচয় যাচাই করতে ব্যবহৃত হয়। তারা কীভাবে একত্রিত হয় তা এখানে দেওয়া হলো:

  • বায়োমেট্রিক ডেটা ক্যাপচার: পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া চলাকালীন, আবেদনকারীর কাছ থেকে বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহ করা হয়। এটি সাধারণত মুখের একটি ডিজিটাল ফটোগ্রাফ অন্তর্ভুক্ত করে এবং দেশের প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে আঙ্গুলের ছাপ বা অন্যান্য বায়োমেট্রিক শনাক্তকারীও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
  • বায়োমেট্রিক স্টোরেজ: বায়োমেট্রিক ডেটা ই-পাসপোর্টের কভারের মধ্যে এমবেড করা একটি মাইক্রোচিপে নিরাপদে সংরক্ষণ করা হয়। এই চিপে পাসপোর্টধারীর ছবি এবং জীবনী সংক্রান্ত বিশদ বিবরণের মতো তথ্য রয়েছে।
  • প্রমাণীকরণ: যখন ই-পাসপোর্টটি বর্ডার কন্ট্রোল বা ইমিগ্রেশন চেকপয়েন্টে স্ক্যান করা হয়, তখন একজন পাঠক মাইক্রোচিপ অ্যাক্সেস করে। বায়োমেট্রিক ডেটা তারপর পাসপোর্ট উপস্থাপনকারী ব্যক্তির লাইভ বায়োমেট্রিক্সের সাথে তুলনা করা হয়।
  • পরিচয় যাচাইকরণ: তুলনাটি যাচাই করতে সাহায্য করে যে পাসপোর্ট ধারক চিপে সংরক্ষিত বায়োমেট্রিক ডেটার সাথে মেলে। যদি লাইভ বায়োমেট্রিক্স সংরক্ষিত ডেটার সাথে মিলে যায় তাহলে এটি উচ্চ স্তরের আত্মবিশ্বাস প্রদান করে যে পাসপোর্ট উপস্থাপনকারী ব্যক্তি বৈধ ধারক।
  • বর্ধিত নিরাপত্তা: বায়োমেট্রিক ডেটা নিরাপত্তার একটি অতিরিক্ত স্তর যোগ করে যার মাধ্যমে কেউ চুরি করা বা জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করা অত্যন্ত কঠিন করে তোলে কারণ তাদের বায়োমেট্রিক্স চিপের ডেটার সাথে মেলে না।
  • গোপনীয়তা সুরক্ষা: ই-পাসপোর্টগুলি গোপনীয়তার কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে। বায়োমেট্রিক ডেটা নিরাপদে এনক্রিপ্ট করা এবং সুরক্ষিত, অননুমোদিত অ্যাক্সেস বা ডেটা লঙ্ঘনের ঝুঁকি হ্রাস করে।

ই পাসপোর্টে বায়োমেট্রিক্স পরিচয় যাচাইয়ের একটি শক্তিশালী উপায় প্রদান করে। যা একটি ভ্রমণ নথি হিসেবে পাসপোর্টের নিরাপত্তা এবং নির্ভরযোগ্যতা বাড়ায়।

এসইও (SEO) কি? SEO কিভাবে কাজ করে? সম্পূর্ণ তথ্য

Please Visit

ই পাসপোর্ট ব্যবহার করা দেশের তালিকা -List of Countries Using E-Passport

এই দেশগুলো নাগরিকদের জন্য বায়োমেট্রিক বা E-Passport চালু করেছে-

  • ইউরোপীয় ইউনিয়ন
  • আলবেনিয়া
  • আলজেরিয়া
  • আর্জেন্টিনা
  • আর্মেনিয়া
  • অস্ট্রেলিয়া
  • আজারবাইজান
  • বাংলাদেশ
  • বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা
  • বলিভিয়া
  • বতসোয়ানা
  • ব্রাজিল
  • ব্রুনাই
  • কম্বোডিয়া
  • কানাডা
  • কেপ ভার্দে
  • চিলি
  • চীন
  • কলম্বিয়া
  • ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র
  • ইকুয়েডর
  • মিশর
  • ফিজি
  • গ্যাবন
  • জর্জিয়া
  • ঘানা
  • হংকং
  • ভারত
  • ইন্দোনেশিয়া
  • ইরান
  • ইরাক
  • আয়ারল্যান্ড
  • ইজরায়েল
  • জাপান
  • কাজাখস্তান
  • কেনিয়া
  • কসোভো
  • কুয়েত
  • লাওস
  • লেবানন
  • লেসোথো
  • ম্যাকাও
  • মাদাগাস্কার
  • মালয়েশিয়া
  • মালদ্বীপ
  • মাল্টার সার্বভৌম সামরিক আদেশ
  • মলদোভা
  • মন্টিনিগ্রো
  • মঙ্গোলিয়া
  • মৌরিতানিয়া
  • মরক্কো
  • মোজাম্বিক
  • নামিবিয়া
  • নিউজিল্যান্ড
  • নাইজেরিয়া
  • উত্তর মেসিডোনিয়া
  • ওমান
  • পানামা
  • পেরু
  • ফিলিপাইন
  • কাতার
  • রাশিয়া
  • রুয়ান্ডা
  • সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জ
  • সার্বিয়া
  • সিঙ্গাপুর
  • সোমালিয়া
  • দক্ষিণ কোরিয়া
  • দক্ষিণ সুদান
  • স্লোভাকিয়া
  • সুদান
  • তাইওয়ান
  • তাজিকিস্তান
  • তানজানিয়া, ইউনাইটেড প্রজাতন্ত্র
  • থাইল্যান্ড
  • যাও
  • তিউনিসিয়া
  • তুরস্ক
  • তুর্কমেনিস্তান
  • ইউক্রেন
  • সংযুক্ত আরব আমিরাত
  • যুক্তরাজ্য
  • যুক্তরাষ্ট্র
  • উরুগুয়ে
  • উজবেকিস্তান
  • ভেনেজুয়েলা
  • ভিয়েতনাম
  • জিম্বাবুয়ে

মনে রাখবেন যে এই তালিকাটি সম্পূর্ণ নাও হতে পারে। আমাদের শেষ আপডেটের পর থেকে E Passport গ্রহণের স্থিতি বাড়তে পারে। ই পাসপোর্ট গ্রহণের সবচেয়ে আপ-টু-ডেট তথ্যের জন্য প্রতিটি দেশের সরকারী সরকারি ওয়েবসাইট বা প্রাসঙ্গিক কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট চেক করার পরামর্শ দিই।

ডেলিভারি স্লিপ সহ পাসপোর্ট চেক – Passport Check with Delivery Slip

পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ দিয়ে পাসপোর্ট চেক করতে ডেলিভারি স্লিপের উপরের ডানদিকে 13-সংখ্যার অ্যাপ্লিকেশন আইডি নম্বরটি খুঁজুন। তারপর www.epassport.gov.bd সাইট থেকে ‘চেক স্ট্যাটাস’ মেনুতে যান এবং অ্যাপ্লিকেশন আইডি এবং জন্ম তারিখ লিখুন। অবশেষে আপনি ‘ক্যাপচা’ পূরণ করে এবং ‘Check’ বোতামে ক্লিক করে পাসপোর্ট পরীক্ষা করতে পারেন।

ই-পাসপোর্ট ফরম পূরণের নির্দেশাবলী – Instructions for Filling E-Passport Form

১। ই-পাসপোর্টের আবেদন অনলাইনের মাধমে পূরণ করা যাবে।
২। আবেদনের ক্ষেত্রে কোন প্রকার কাগজপত্র সত্যায়ন করার প্রয়োজন হয় না।
৩। ফরমে কোন ছবি সংযোজন এবং তা সত্যায়নের প্রয়োজন হয় না।
৪। জাতীয় ‍পরিচয়পত্র অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ BRC ইংলিশ ভার্সন অনুযায়ী আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে।
৫। ১৮ বছরের কম বয়সী আবেদনকারী যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তার পিতা অথবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
৬। NID অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ BRC ইংলিশ ভার্সন নিম্নোক্ত বয়স অনুসারে প্রদান করতে হবে:

  • ১৮ বছরের নিম্নে হলে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (English Version).
  • ১৮-২০ বছর হলে জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (English Version)
  • ২০ বছরের উর্ধে হলে জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID) আবশ্যক । তবে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (English Version) গ্রহণযোগ্য হবে।

৭। স্টার মার্ক ক্রমিক নম্বরগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে।
৮। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিবাহ সনদ/নিকাহনামা এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তালাকনামা দাখিল করতে হবে।
৯। দেশের অভ্যন্তরে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ফি এর উপর নির্ধারিত হারে ভ্যাট (VAT) সহ অন্যান্য চার্জ (যদি থাকে) অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হবে। বিদেশে আবেদনের ক্ষেত্রেও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি প্রদেয় হবে।
১০। কূটনৈতিক পাসপোর্টের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের Consular and Welfare Wing অথবা ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় বরাবর আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।
১১। অতি জরুরী পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে (নতুন ইস্যু) নিজ উদ্যোগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ পূর্বক আবশ্যিকভাবে আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে।
১২। দেশের অভ্যন্তরে অতি জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ২ কর্মদিবস ,জরুরী পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে ৭ কর্মদিবস ও ১৫ কর্মদিবসে মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
১৩। আবেদনের সময় মূল NID, অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ English Versionএবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সনদ, সরকারি আদেশ (GO)/অনাপত্তি (NOC) প্রদর্শন করতে হবে।
১৪। পাসপোর্ট রি-ইস্যুর জন্য মূল পাসপোর্ট প্রদর্শন করতে হবে।
১৫। হারানো পাসপোর্টের ক্ষেত্রে মূল জিডির কপি প্রদর্শন করতে হবে।
১৬। ০৬ বছর বয়সের নিম্নের আবেদনের ক্ষেত্রে ৩ আর (3R Size) সাইজের ল্যাব প্রিন্ট গ্রে ব্যাকগ্রউন্ড ছবি প্রদান করতে হবে।
১৭। পাসপোর্ট হারিয়ে অথবা চুরি হয়ে গেলে দ্রুত নিকটস্থ থানায় জিডি করতে হবে। পুনরায় পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার সময় পুরাতন পাসপোর্টের ফটোকপি এবং জিডি কপিসহ আবেদন করতে হবে ।

অনলাইনে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম – ২০২৩ – Online ePassport Rules – 2023

অনলাইনে E‑Passport আবেদন করতে বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশন পোর্টাল ওয়েবসাইট- www.epassport.gov.bd এ যান এবং মেনু থেকে “Apply Online” অপশনটি নির্বাচন করুন। আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এবং থানা নির্বাচন করুন। আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের সাথে একটি বৈধ ইমেল ঠিকানা এবং পিতা-মাতার তথ্য এবং জরুরি যোগাযোগের ঠিকানা অবশ্যই পূরণ করতে হবে। পাসপোর্টের বৈধতা এবং ডেলিভারির পদ্ধতি নিশ্চিত করার পরে আবেদনটি অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে।

ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে? What does it Take to Apply for an E Passport?

অনলাইনে ই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার জন্য কোনও নথি আপলোড করার প্রয়োজন নেই তবে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা যাচাইয়ের জন্য কিছু নথি চান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আসল জাতীয় পরিচয়পত্র, অনলাইনে E‑Passport আবেদনের কপি, নাগরিক সনদ।

এ সকল কাগজপত্র ছাড়াও আরো কিছু কাগজপত্র পাসপোর্ট অফিসে সাথে করে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয়।

আরো কিছু কাগজপত্র

  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
  • আবেদন সামারী (Application Summery)
  • পেশাজীবী প্রমাণপত্র পিতা-মাতার NID কার্ডের কপি (শিশুদের ক্ষেত্রে আবশ্যিক)
  • ই পাসপোর্ট আবেদন কপি
  • বিলের কপি (গ্যাস/বিদ্যুৎ)

ই পাসপোর্ট ফি – E-Passport Fee

ই পাসপোর্টের ফি পাসপোর্টের পৃষ্ঠার সংখ্যা, পাসপোর্ট এর মেয়াদ এবং ডেলিভারির ধরন অনুসারে হয়ে থাকে। পৃষ্ঠার সংখ্যা, পাসপোর্ট এর মেয়াদ এবং ডেলিভারির ধরনের উপর ভিত্তি করে সর্বনিম্ন ৪০২৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৩৮০০ টাকা পর্যন্ত ই পাসপোট ফি ধার্য করা হয়েছে।

সরকারি ফি ছাড়া পাসপোর্ট অফিসে অতিরিক্ত কোন ফি নেই। আবেদনের ক্ষেত্রে নিজে আবেদন করতে না পারলে অন্য কোথাও বা কম্পিউটার দোকান থেকে আবেদন করিয়ে নিতে ২০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা প্রদান করতে হতে পারে।

আরও পড়ুন-

iPhone 14 vs iPhone 15 (আইফোন ১৪ vs আইফোন ১৫) – iPhone 15 Price in Bangladesh

সোনালী ব্যাংক (Sonali Bank) – অনলাইন ব্যাংকিং ও অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম

Social Media Marketing (সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং) কী? ও এটির গুরুত্ব

লোকাল এসইও (Local SEO) কি? লোকাল এসইও এর গুরুত্ব ও Local SEO করার নিয়ম

টেকনিক্যাল এসইও (Technical SEO) কি? টেকনিক্যাল এসইও (Technical SEO) করার নিয়ম

শেয়ার করুন -

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top